আবারো ত্রাতা সুন্দরবন

43

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের বিরুদ্ধে আবারো ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হলো সুন্দরবন। বুধবার (২০ মে) সন্ধ্যা থেকে সুপার সাইক্লোন আম্ফান দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে তাণ্ডব চালাতে শুরু করলে তা প্রতিহত করে বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়ায় ম্যানগ্রোভ বনটি।
সুপার সাইক্লোনটি বুধবার সন্ধ্যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঝড়ো বাতাস, প্রচণ্ড বৃষ্টি এবং ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসসহ প্রথম আঘাত হানে।
আবহাওয়াবিদরা জানান, মারাত্মক এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের খুলনা, মংলা, সাতক্ষীরা এবং সুন্দরবনের ওপর শক্তি প্রদর্শন করার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৭০ কিলোমিটার, যা দমকা হাওয়ার আকারে প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৯০ কিলোমিটার প্রতি বৃদ্ধি পায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সুন্দরবন না থাকলে আম্ফানের ধ্বংসের ক্ষতচিহ্ন আরো অনেক বেশি হতো। বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনটি উপকূলীয় অঞ্চলকে আম্ফানের হিংস্রতা থেকে রক্ষা করেছে।
খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, “সুন্দরবন আম্ফানের বিশাল ক্ষতি থেকে আমাদের রক্ষা করেছে। এই বন আমাদেরকে বরাবরই আম্ফানের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও এর প্রভাব থেকে রক্ষা করে চলেছে।”
তিনি বলেন, “ঘন ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট হওয়ায় সুন্দরবন একটি ঢাল হিসেবে কাজ করে। বাতাসের গতিকে অনেকাংশে কমিয়ে দেয়ার পাশাপাশি যখন ঝড় এর ভেতর দিয়ে যেতে থাকে তখন এই বন জলোচ্ছ্বাস এবং সমুদ্রের ঢেউকে ধীরে ধীরে কমিয়ে ফেলে।”
এর আগেও ২০০৭ এবং ২০০৯ সালে একই ধরনের দুটি ঝড়ে ঢাল হিসেবে কয়েক লাখ মানুষকে রক্ষা করে এই সুন্দরবন।