আবারও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হাফিজ

8

প্রথমবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলতে এসে আবারও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেন মোহাম্মদ হাফিজ। তার আগে অবশ্য বল হাতে আলো ছড়ান তিনি। সঙ্গে নাজমুল ইসলাম অপু দারুণ বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে গুটিয়ে দিলেন অল্প রানে। রান তাড়ায় অপরাজিত ফিফটিতে বাকি কাজ সারেন সৌম্য সরকার। খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে সহজেই হারিয়ে প্রথম জয়ের দেখা পেল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে মোহামেডানের জয় ৫ উইকেটে।

১৪৯ রানের লক্ষ্য তারা পেরিয়ে যায় ৫৯ বল বাকি থাকতে। ১০০ বলে ২ চারে ৫৯ রানের ইনিংসে দলের জয় নিয়ে ফেরেন সৌম্য। মোহামেডানের জয়ের নায়ক নাজমুল। খেলাঘরকে দেড়শর আগে থামিয়ে দিতে ১০ ওভারে ¯্রফে ১৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ১০ ওভারে ২৪ রানে হাফিজের প্রাপ্তি ৩টি। পরে ব্যাটিংয়ে ‘গোল্ডেন ডাক’ এর তেতো স্বাদ পান সাবেক পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সতর্ক শুরু করেন খেলাঘরের দুই ওপেনার পিনাক ঘোষ ও প্রিতম কুমার। কিন্তু নবম ওভারে ৩৬ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে দলটি। মোহামেডানের প্রথম সাফল্য আসে নাজমুলের হাত ধরেই। তাকে বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টায় স্টাম্পড হয়ে ফেরেন প্রিতম।

পরে অমিত হাসানকে এলবিডব্লিউ করার পর সালমান হোসেনকে বোল্ড করে দেন তিনি। মাঝে শুভাগত হোমের শিকার পিনাক ঘোষ ও অশোক মেনারিয়া। ৭০ রানে ৫ উইকেট হারানো খেলাঘর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ইলিয়াস সানিকে এলবিডব্লিউ করে প্রথম উইকেট পান হাফিজ। পরে মাসুম খানকে বোল্ড করার পর খেলাঘরের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করা অধিনায়ক নাদিফ চৌধুরিকেও ফিরিয়ে দেন তিনি। ইফতেখার সাজ্জাদের ২৪ রানের সুবাদে কোনোমতে দেড়শর কাছাকাছি যেতে পারে খেলাঘর। চোট কাটিয়ে প্রায় এক বছর পর এই ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফেরেন পেসার হাসান মাহমুদ। ৯ ওভারে ৩২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় মোহামেডানের শুরুটা ভালো হয়নি।

চতুর্থ ওভারে হোসেন আলিকে লেগ সাইডে খেলার চেষ্টায় ফিরতি ক্যাচ দেন রনি তালুকার। এক হাতে ক্যাচ নেন বোলার। পরের বলে ড্রাইভ করে পয়েন্টে ধরা পড়েন হাফিজ। প্রথম ম্যাচে তিনি করেছিলেন ৪ রান। ১৫ রানেই ২ উইকেট হারায় মোহামেডান। পারভেজ হোসেন ইমন খেলছিলেন দারুণ। কিন্তু ইনিংস টেনে নিতে পারেননি এই ওপেনার। ৪০ বলে ৫ চার ও একটি ছক্কায় ৩৬ রান করে মাসুম খানকে ফিরতি ক্যাচ দেন তিনি। চতুর্থ উইকেটে আরিফুল ইসলামের সঙ্গে ৭৩ রানের জুটিতে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন সৌম্য। আরিফুল ৩০ রান করে বিদায় নিলে ভাঙে জুটি। এরপর শুভাগত ১৬ রান করে ফিরলেও কাজ শেষ করে আসেন সৌম্য। প্রথম দুই ম্যাচেই হারল খেলাঘর। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে হেরে লিগ শুরুর পর জয়ের খাতা খুলল মোহামেডান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি: ৪৯ ওভারে ১৪৮ (পিনাক ১৩, প্রিতম ৭, অমিত ২১, মেনারিয়া ২, সালমান ৮, নাদিফ ৩৩, সানি ৩, মাসুম ৪, ইফতেখার ২৪, হোসেন ১২, রনি ৩*; হাসান ৯-০-৩২-০, ইয়াসিন ৪-০-১৮-১, শুভাগত ৯-১-২৮-২, নাজমুল ১০-০-১৮-৪, হাফিজ ১০-১-২৪-৩, সোহরাওয়ার্দী ৭-০-২৩-০)
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ৪০.১ ওভারে ১৫০/৫ (রনি ৪, পারভেজ ৩৬, হাফিজ ০, সৌম্য ৫৯*, আরিফুল ৩০, শুভাগত ১৬, জাহিদুজ্জামান ০*; হোসেন ২.৫-১-৮-২, ইফতেখার ১০-০-৪৬-০, সালমান ০.২-০-৪-০, রনি ১০-১-৩১-০, মাসুম ৭-০-১৬-২, সানি ৫.১-০-১৪-০, মেনারিয়া ৪.৫-০-৩০-১)
ফল: মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: নাজমুল ইসলাম