আবরার হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

11

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি এরই মধ্যে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আইনমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন। আবরার ফাহাদের পরিবারের সদস্যরা সোমবার বিকেলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
আবরারের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন আবরারের পিতা বরকত উল্লাহ, মা রোকেয়া খাতুন, ভাই আবরার ফায়াজ সাব্বির, চাচা ও মামা।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, আবরারের মা রোকেয়া খাতুন তার সন্তানের হত্যার পর দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনার পরে আপনি যে মাতৃসুলভ ভূমিকা পালন করেছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা আমার নেই।’ আবরার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুনিরা খুনিই’, ‘অপরাধীরা অপরাধীই’। কে কোন দলের তা আমি দেখিনি।’
শেখ হাসিনা আবরারের মা-বাবাকে বলেন, ‘আপনারা যা হারিয়েছেন তার জন্য সান্ত¦না দেয়ার ভাষা আমার নেই।’ তিনি বলেন, ‘দয়া করে আমার দিকে তাকান, আমি এক রাতে সবকিছু হারিয়েছি। আমি আপনজন হারানোর যন্ত্রণা বুঝি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবরারের হত্যাকারীরা মানুষ নয়। ‘যার সাথে তারা বসে পড়ালেখা করছে তাকে তারা কিভাবে হত্যা করতে পারে?’ শেখ হাসিনা বলেন, ঘটনার পরে পুলিশকে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করার নির্দেশ দেয়া হয়। ‘কিন্তু বুয়েটের কিছু ছাত্র কেন ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহে বাধা সৃষ্টি করল তা আমার বোধগম্য নয়।’
প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, গণভবনের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত হওয়ার পর আবরারের মা তাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লে এক হদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে পরম মমতায় বেশ কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরে রাখেন এবং তার জন্য নির্ধারিত চেয়ারের পরিবর্তে আবরারের মায়ের পাশেই বসে পড়েন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।