Last Updated on ডিসেম্বর ১৬, ২০২৪ by
আপনারা নতুন প্রজন্মের সাহসের বাতিঘর হয়ে থাকবেন: বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ
![](https://gourbangla.com/agency/2024/12/4e150496-22d0-4017-850b-18d537650c25-300x169.jpg)
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের শ্রদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারকে বিজয় সংবর্ধনাসহ নানা আয়োজনে চাঁপাইনবাবগঞ্জে উদযাপন হচ্ছে মহান বিজয় দিবস। সূর্যোদযের সাথে সাথে পুরাতন স্টেডিয়ামে ৩১ বার তোপধ্বনি, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাধীন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা সংবলিত স্মৃতিফলকে জেলা প্রশাসন, বীর মুক্তিযেদ্ধা, জেলা পুলিশ, সরকারি দপ্তর, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
পরে সকাল ১১ টা চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারকে বিজয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় সরকার, চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক দেবেন্দ্র নাথ উরাঁওয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বলেন, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের আজকের এই স্বাধীনতা, আপনাদের অদম্য সাহস আর আত্মত্যাগের সোপান বেয়ে এসেছে আজকের এই বিজয়। আপনারা নতুন প্রজন্মের অনুপ্রেরণা আর সাহসের বাতিঘর হয়ে থাকবেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আপনাদের বিরোচিত ভূমিকা একটি বৈষম্যমুক্ত সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজে কোটি তরুণকে শক্তিযোগাবে।
জেলা প্রশাসক বলেন-দীর্ঘ ৯ মাসের রক্ষক্ষয়ি মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। বিজয়ের এই দিনে আমি
শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা কামনা করছি, গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর শ্রেষ্ঠ শহিদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরসহ মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল বীর শহিদ, সম্ভ্রম হারা দুইলাখ মা বোন, সকল জাতীয় নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সমর্থক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবার এবং মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী সর্বস্তরের জনগণকে। যাদের ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে আমরা পেয়েছি মহান স্বাধীনতা, লাল সবুজের পতাকা এবং আমাদের এই প্রিয় বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে স্মরণ করছি সম্প্রতিক সময়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলেনের শহিদদের।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত আলী, পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম, সিভিল সার্জন এস এম মাহমুদুর রশিদ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন।
পরে একই মঞ্চে দুদিনের বিজয় মেলার উদ্বোধন করা হয়।