আপত্তি না থাকলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা দুই মাসের মধ্যেই জিআই সনদ

30

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সুমিষ্ট আম ল্যাংড়া ও টকমিষ্ট স্বাদের আম আশ্বিনা এখন জিআই জার্নালে চলে গেছে। কারো কোনো আপত্তি না থাকলে আগামী দুই মাসের মধ্যে জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) সনদ পেয়ে যাবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোখলেসুর রহমান গতকাল শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ভৌগোলিক নির্দেশক (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন বা জিআই) স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত, ন্যাংড়া ও আশ্বিনা আমকে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন করা হয়। আর এই তিন জাতের আমের মধ্যে ‘খিরসাপাত’ আমকেই জিআই পণ্য হিসেবে ২০১৯ সালে স্বীকৃতি দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন পেটেন্ট ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেড মার্কস অধিদপ্তর।
এদিকে এরই মধ্যে ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আমকে জিআই জার্নালে প্রকাশ করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডিজাইন, পেটেন্ট ও ট্রেড মার্কস বিভাগ। কোনো প্রকার আপত্তি না থাকলে আগামী দুই মাসের মধ্যেই স্বীকৃতি মিলবে এ দুটি আমের।
মোখলেসুর রহমান বলেন, এর আগে ২০১৯ সালে খিরসাপাত আম জিআই নিবন্ধন সনদ পাবার পর ২০২২ সালে ফজলি আম রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ উভয় জেলার জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম বলেন, আমাদের সর্বশেষ মিটিংয়ে এই আম দুটির জিআই স্বীকৃতির বিষয়ে জানানো হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি আমরা এগুলোর স্বীকৃতি পাবো।
কোনো একটি দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া এবং ওই জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাহলে সেটিকে ওই দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। জিআই একটি পণ্যের ভৌগোলিক নির্দেশক হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ ট্রেডমার্ক যেমন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সক্রিয় পরিচিতি দেয় জিআই একটি দেশের নির্দিষ্ট পণ্যকে পরিচিতি প্রদান করে। জিআই পণ্যের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো বিশ্ববাজারে পণ্যটির ব্র্যান্ডিংয়ে যা সমমানের অন্য যে কোনো পণ্য থেকে জিআই পণ্যকে এগিয়ে রাখে।