Last Updated on সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪ by
আগে আমার অফিসকেই দুর্নীতিমুক্ত করতে চাই : সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আব্দুস সামাদ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাগত জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ বলেছেন, ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার জিরো টলারেন্স। এ জন্য আমি আমার অফিস থেকেই কাজ শুরু করব। আগে আমার অফিসকেই শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত করতে চাই। এরপর জেলার অন্যান্য সরকারি অফিসগুলোকেও দেখা হবে। এছাড়া মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
নবাগত জেলা প্রশাসকের চাঁপাইনবাবগঞ্জে যোগদান উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাকে ঘুষ, দুর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত একটি মডেল জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য সাংবাদিকসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, বিগত দিনে আমরা, আপনারা যারা পেশাজীবীরা আছেন, তারা বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। তবুও কি আমরা দাঁড়িয়েছিলাম, আমরা কি বলেছি যে আমরা কথা বলতে পারছি না। কথা বলার পরিস্থিতিতে ছিলাম না। কিন্তু এখন আমরা কথা বলতে পারছি। আপনারাও কথা বলতে পারছেন। এই অধিকার আমরা শহীদদের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি। এটি যদি আমরা রক্ষা না করি, তাহলে তাদের সাথে আমাদের বেঈমানি করা হবে। তাদের যে আত্মত্যাগ তা দিয়ে বঞ্চনামুক্ত দেশ গড়তে হবে। বিগত দিনে আমরা যা পারিনি, তা এই প্রজন্মের যুবরা পেরেছে, তারা রক্ত দিয়ে বৈষম্যবিরোধী একটি সমাজ গঠনের যে স্বপ্ন দেখিয়ে গেছেন, সেই স্বপ্ন আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। তা না হলে শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে। আমি শতভাগ ন্যায়ের পথে থেকে কাজ করব। তাতে কে কি বলল, তাতে আমার কিছু যায় আসে না।
নবাগত জেলা প্রশাসক তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমি সরকারের কাছে দায়বদ্ধ, আমার নীতির কাছে, বিবেকবোধের কাছে দায়বদ্ধ, জনগণের কাছে আমি দায়বদ্ধ। কারণ, জনগণের টাকায় আমার বেতন হয়। কাজেই আমার টার্গেট থাকবে, ওই টাকা ওই বেতন যাতে আমি শতভাগ হালাল করতে পারি।
আব্দুস সামাদ বলেন, আমি আজ চাঁদাবাজি করব, কাল আমিই মোবাইল কোর্ট করব তা তো হয় না। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলবে।
মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করা সাংবাদিকরা চাঁপাইনবাবগঞ্জের উন্নয়নে নতুন জেলা প্রশাসককে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন। সভায় জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল আম উৎপাদন, বিপণন, বিদেশে রপ্তানি, আমজাত পণ্য উৎপাদন, ম্যাংগো ট্রাস্ট, সোনামসজিদ স্থলবন্দর, আন্তঃনগর ট্রেন, গম্ভীরা, পরিবেশ, যোগযোগ, বিদ্যুতের লোডশেডিংসহ উন্নয়নমূলক বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে সাংবাদিকদের পরামর্শে। এছাড়াও মাদক, কিশোর গ্যাং, ভুয়া এনজিওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলা হয়।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইকতেখারুল ইসলাম, জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল আহাদসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।