Last Updated on জানুয়ারি ৮, ২০২৫ by
আগামী সপ্তাহে চাঁদে নভোযান পাঠাচ্ছে মার্কিন কম্পানি
মার্কিন কম্পানি ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেস নাসার একটি পরীক্ষামূলক কর্মসূচির অধীনে আগামী সপ্তাহে চাঁদে একটি নভোযান পাঠাচ্ছে। সংস্থাটি মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে। ওয়াশিংটন থেকে এএফপি বুধবার এ খবর জানিয়ে বলেছে, নাসা এই অভিযানের ব্যয় কমাতে বাণিজ্যিক খাতের সঙ্গে অংশীদারি করছে। এই অভিযান সফল হলে তা হবে অ্যাপোলো যুগের অবসানের পর দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন কোনো রোবটিক মহাকাশযানের চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ। টেক্সাসভিত্তিক ফায়ারফ্লাই স্পেস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া একটি পোস্টে লিখেছে, ‘প্রস্তুত হন! চাঁদে আমাদের যাত্রা আগামী বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ইএসটি সময় মধ্যরাত ১টা ১১ মিনিটে স্পেসএক্স ফ্যালকন-৯ রকেটে চড়ে শুরু হবে।’ কম্পানির ল্যান্ডার ব্লু ঘোস্ট ৬.৬ ফুট লম্বা ও ১১.৫ ফুট চওড়া। এর লক্ষ্য হবে চাঁদের উত্তর-পূর্ব দিকে মারে ক্রিসিয়ামের মধ্যে অবস্থিত মনস ল্যাট্রেইল নামের একটি আগ্নেয়গিরির জায়গায় ১০টি বিজ্ঞান গবেষণা প্রকল্প ও প্রযুক্তি প্রদর্শনের জন্য সরঞ্জাম সরবরাহ করা। ব্লু ঘোস্ট চাঁদের উদ্দেশে ৪৫ দিন ভ্রমণ করবে। তারপর চন্দ্রপৃষ্ঠে ১৪ দিনের পূর্ব পরিকল্পিত কার্যক্রম পরিচালনা করবে। ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেস ২০২১ সালে নাসার বাণিজ্যিক লুনার পেলোড সার্ভিসেস (সিএলপিএস) উদ্যোগের অধীনে ৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি করেছিল। বেসরকারি চন্দ্র অর্থনীতিকে উৎসাহিত করা ও বৃহত্তর আর্টেমিস প্রগ্রামের অংশ হিসেবে সেখানে একটি স্থায়ী উপস্থিতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে এই প্রগ্রামটি চাঁদে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত পেলোড সরবরাহ করার জন্য নবাগত মহাকাশ সংস্থাগুলোকে নিয়োগ করেছে। এর আগে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে পেনসিলভানিয়াভিত্তিক অ্যাস্ট্রোবোটিক পরিচালিত প্রথম সিএলপিএস মিশনটি ব্যর্থতায় শেষ হয়েছিল। কম্পানির পেরেগ্রিন ল্যান্ডারটি ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্স ভলকান রকেটে চড়ে যাত্রা করেছিল। কিন্তু কিছুদিন পর জ্বালানি লিক হওয়ার কারণে তা হারিয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত পৃথিবীর বায়ুম-লে এসে পুড়ে যায়। এক মাস পর টেক্সাসভিত্তিক ল্যান্ডার স্পেস এক্স ফ্যালকন-৯-এ চড়ে যাত্রা করে এবং ২২ ফেব্রুয়ারি সফলভাবে দক্ষিণ মেরুর কাছে চাঁদের পিষ্ঠ স্পর্শ করে। অবতরণ করার সময় এটির একটি পা ভেঙে যায় এবং এক কোণে বিশ্রাম নেয়, যার সৌর প্যানেলগুলো রেডিও চালিয়ে রাখার জন্য পর্যাপ্ত সূর্যালোক গ্রহণ করতে বাধা দেয়। তবু মিশনটি বেশ কয়েকটি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে, ছবি প্রেরণ করেছে এবং এটিকে ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো-১৭ মিশনের পর প্রথম মার্কিন চন্দ্র অবতরণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আজ পর্যন্ত মাত্র পাঁচটি দেশ চাঁদে সফলভাবে মহাকাশযান পরিচালনা করেছে। দেশগুলো হলো সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত ও জাপান।