আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে নভেম্বর মাসের শুরুর দিকেই কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিনের মধ্যে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হবে। সোমবার দুপুরে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার একথা জানিয়েছেন। টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রবিউল হাসান বলেন, নভেম্বর শুরু থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। জাহাজে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সাগর উত্তাল থাকায় গত বছরের ১৫ মার্চ এই নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল প্রশাসন। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক নয়ন শীল বলেন, চলতি মৌসুমে এ নৌপথে চলাচলের জন্য পাঁচটি জাহাজ অনুমতি চেয়েছে। এর মধ্যে গত ২৩ অক্টোবর তিনটি জাহাজকে আগামি বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু কি কারণে এখনও জাহাজ চলাচল শুরু হয়নি তা জানি না। হয়তো নভম্বরের শুরু থেকে জাহাজগুলো চলাচল শুরু হতে পারে। অনুমতি পাওয়া জাহাজ তিনটি হলো-কেয়ারি সিন্দাবাদ, দ্য আল্টানিক ক্রুজ ও ফারহানা। কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজের টেকনাফের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, বিআইডব্লিউটিএ-এর অনুমতি নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের ছাড়পত্র পেলে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল শুরু হবে। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থেকে দ্বীপে বেড়াতে ইচ্ছুকরা যোগাযোগ করছেন। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, দ্বীপে পর্যটক ব্যবসায়ীরা হোটেল ও কটেজগুলো সাজিয়ে রাখছেন। জাহাজ চলাচলের খবর দ্বীপে পৌঁছানোর পর সব শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরেছ।