Last Updated on সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ by
আগামী বছর নবম-দশমের বই ২০১২ সালের সিলেবাসে
আগামী শিক্ষাবর্ষের নবম ও দশম শ্রেণীর বই ২০১২ সালের পুরনো সিলেবাসে ছাপানো হবে জানিয়ে এ দুই শ্রেণীর নতুন পাঠ্যবইয়ের চাহিদা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
এনসিটিবির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তাদের ওয়েবসাইটে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেলা ও উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে চাহিদা দাখিল করতে হবে। ১২ সেপ্টেম্বর অনুমোদন নিতে হবে জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে। আর আঞ্চলিক উপপরিচালকরা চাহিদা অনুমোদন দেবেন।
অন্যান্য বছরের মতো ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), দাখিল, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল এবং কারিগরি পর্যায়ের বইয়ের চাহিদা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে অনলাইনে সংগ্রহ করা হয়েছে।
তবে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নবম ও দশম শ্রেণীর ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২-এর আলোকে শাখা ও গুচ্ছভিত্তিক সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যবই (২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ছাড়া) দেওয়া হবে বলে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বরাবর পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষা ব্যবস্থা আমূল পাল্টে দেওয়া হচ্ছে। মাধ্যমিকে ফিরছে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ। মূল্যায়ন পদ্ধতি অনেকটাই জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর মতো হবে।
গত ১ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে বলা হয়, নানা সমস্যার কারণে জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২২ ‘বাস্তবায়নযোগ্য নয়’। এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের বাধা হিসেবে শিক্ষকদের প্রস্তুতির ঘাটতি, পাঠ্য বিষয়বস্তু ও মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে অস্পষ্টতা ও নেতিবাচক ধারণা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার অভাবের কথা বলা হয় সেখানে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, পাঠ্যক্রম সংশোধন ও পরিমার্জন করে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে এবং আগামী বছর থেকে পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তন আসবে। মাধ্যমিকে ছয়টি করে বিষয়ভিত্তিক যে মূল্যায়ন কার্যক্রম এ বছর অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে, সেগুলো আর হবে না। ২০২৬ সালের এসএসসি ও সমানের পরীক্ষায় বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অব্যাহত থাকবে। ২০২৫ সালে যথাসম্ভব সংশোধন ও পরিমার্জন আনা হবে পাঠ্যবইয়ে।