Last Updated on আগস্ট ২৭, ২০২৪ by
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের রিট খারিজ চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ এবং এর নিবন্ধন বাতিল চেয়ে করা রিটটি সরাসরি খারিজ চাইলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া রিটের পক্ষে শুনানি করার পর অ্যাটর্নি জেনারেল এই রিটটি খারিজ চেয়ে তার বক্তব্য পেশ করেন।
বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে রিটের শুনানিতে অংশ নিয়ে তিনি মঙ্গলবার একথা বলেন।
এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো উদ্দেশ্য নেই কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ বা নিবন্ধন বাতিল করা। সংবিধানে সংগঠন ও রাজনৈতিক দল পরিচালনার যে স্বাধীনতা রয়েছে, এই সরকার সেটিতে বিশ্বাস করে। আর বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের সাথে জড়িতদের অন্যায় অবিচারের বিচার আইন আদালতের মাধ্যমে হবে। সেটার জন্য কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা সমীচীন নয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আওয়ামী লীগে অনেক ভালো নেতাকর্মী আছেন, যারা তাদের আদর্শে বিশ^াস করেন। তাই, তাদের সে বিশ^াসের দল নিষিদ্ধ করা আদালতের কাজ নয়। ‘বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা, আজ জেগেছে জনতা’ এমন স্লোগানের প্রেক্ষাপটে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে যে নতুন স্বাধীনতা এসেছে, সেখানে সবার বাকস্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হতে হবে। তাই, রাজনৈতিক দল পরিচালনার স্বাধীনতা এসময় বন্ধ হতে পারে না।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমরা দেখেছি প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয়েছে। যেটি আমাদের কারোরই কাম্য ছিল না। বিগত কর্তৃত্ববাদী শাসনের সাথে বিচার বিভাগের সমর্থনের ও অবিচারের প্রেক্ষাপটেই এমন ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী হিসেবে বিচার বিভাগে কোনো আক্রমণ হলে সেটি আমাদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণেরই বিষয়। তাই, কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা নিয়ে মাঠের রাজনীতি আদালতে টেনে আনা ঠিক নয়। আর কোনো রাজনৈতিক দল এই রিট নিয়ে আদালতে আসেনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল রিটটি খারিজ চেয়ে আদালতকে বলেন, এই রিটটি যাদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে, সেই আওয়ামী লীগকে রিটে পক্ষভুক্ত করা হয়নি এবং কোনো নোটিশ দেয়া হয়নি। এই রিটের কোনো লোকাস স্ট্যান্ডাই নেই। এই রিট মেইনটেনেবল নয়। তাই রিটকারীকে খারিজ করার আবেদন করছি।
একপর্যায়ে রিটকারী আইনজীবী শুনানির জন্য আরো সময় চাইলে আগামী ১ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে আদেশ দেন আদালত।
মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া এই রিটটি করেন।