‘আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে কোনো দলকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই’-শান
এখন পর্যন্ত দুই দল টেস্ট খেলেছে ১৩ বার। তাতে একবারও জেতেনি বাংলাদেশ, হারতেই হয়েছে ১২ ম্যাচে। অতীত রেকর্ড পাকিস্তানের পক্ষে কথা বললেও বাংলাদেশকে খাটো করে দেখছেন না দলটির অধিনায়ক শান মাসুদ। রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের প্রথম টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে শান বলেন, ‘আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে কোনো দলকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। প্রত্যেকেই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। যেকোনো প্রতিপক্ষ আপনাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে। আমরা আমাদের শক্তিমত্তায় মনোযোগ রাখছি। কীভাবে আরও ভালো করা যায়, বাংলাদেশের শক্তি অনুযায়ী খেলা যায় তা নিয়েই ভাবছি।’ শানের কাছে দলগত পারফরম্যান্সই সবচেয়ে বড় বিষয়। সময় পক্ষে না থাকলেও দলের উন্নতি নিয়ে নেই তার সংশয়। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দৃষ্টি রেখে জিততে চান যত বেশি সম্ভব ম্যাচ। বিশেষ করে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি হোম সিরিজের অংশ বলে দুটি ম্যাচেই জয়ে চোখ তাদের। ‘দিনশেষে এটা টিম গেম, একার কারও পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আমরা দল হিসেবে কীভাবে খেলছি এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জয়-পরাজয়ের দিকে তাকাতেই পারি। অস্ট্রেলিয়ায় হয়ত আমরা ম্যাচ জিতিনি। তবে এমন অনেক কিছু ওখানে করেছি যা ঠিক ছিল। দল হিসেবে আমরা ঠিক পথেই এগোচ্ছি। আমরা এবার ফাইনাল খেলতে চাই। এজন্য ঘরের মাঠে আমাদের যত বেশি সম্ভব ম্যাচ জিততে হবে। তাই ভালো খেলতে হবে, এক্সাইটিং ক্রিকেট খেলতে হবে। শুধু সমর্থক না, আমাদের জন্যও। আমরা অবশ্য সব ফরম্যাটেই সেরা ক্রিকেট খেলতে চাই।’ উইকেট ও কন্ডিশন বিবেচনায় পেসাররাই গেম চেঞ্জার হয়ে উঠতে পারেন। পাকিস্তান দলপতিও পেসারদের নিয়েই ধরলেন বাজি, ‘রাওয়ালপিন্ডিতে ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখেছি কন্ডিশন পেসার ও ব্যাটারদের পক্ষে থাকে। স্পিন খুব একটা কাজে আসে না। ঘরোয়া ক্রিকেটের সেই অভিজ্ঞতাই এখানে কাজে লাগাতে চাই। আমাদের এখন নতুন কোচিং স্টাফ। তাদের মাইন্ডসেটও ভিন্ন। আমাদের শক্তির জায়গা ফাস্ট বোলিং। ৬ জন মানসম্পন্ন ফাস্ট বোলার আছে। কীভাবে ২০ উইকেট শিকার করা যায় সেদিকেই ভাবছি। নিজেদের বাজিয়ে নেওয়ার জন্য এই সিরিজ সুবর্ণ সুযোগ।’