ঢাকার জজ কোর্টের আইনজীবীর সহকারী মোবারক হোসেন ভূঁইয়া হত্যা মামলায় ১২ জনকে মৃত্যুদ- দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মনির কামাল ৮ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলেন, মো. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া ওরফে মহুব, মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া ওরফে বাদল ভূঁইয়া, আফজাল ভূঁইয়া, এমদাদুল হক ওরফে সিকরিত ভূঁইয়া, নয়ন ভূঁইয়া, ভুলন ভূঁইয়া ওরফে ভুলু, রুহুল আমিন, শিপন মিয়া, সুলতানা আক্তার, দেলোয়ার হোসেন, বিধান সন্যাসী ও নিলুফা আক্তার। এদের মধ্যে সুলতানা আক্তার, দেলোয়ার হোসেন, বিধান সন্যাসী ও নিলুফা আক্তার পলাতক।
রায়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়। এছাড়া রায়ে মামলার অপর দুই আসামি তাসলিমা আক্তার (পলাতক) ও শামীম ওরফে ফয়সাল বিন রুহুলকে (পলাতক) এক বছর করে সশ্রম কারাদ- দেয়া হয়েছে। আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জয়নাল আবেদীন নামে আরেক আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, মোবারকের পরিবারের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে আসামিদের বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জের ধরে ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর মোবারকের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে গোথালিয়া গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে আসামিরা মোবারক হোসেনের পেটে বল্লম দিয়ে আঘাত করে। এতে মোবারক হোসেন মারা যান। পরদিন মোবারকের ছোটভাই মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া ১৬ জনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন পুলিশ পরিদর্শক মকবুল হোসেন মোল্লা। মামলাটি দ্রুত বিচারের জন্য ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি বাজিতপুর থানার পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। একই বছর ১৭ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। ৩১ জনের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
মোবারক হোসেন কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার গোথালিয়া ভূঁইয়াবাড়ির মৃত ইশাদ ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে ঢাকা জজ কোর্টে আইনজীবীর ক্লার্ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।