অসযোগ আন্দোলন

60

মাহমুদুল বাসার

gourbangla logo
ঘটনাক্রমে যে বছর মহাত্মাগান্ধী অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন, ১৯২০ সালে সেই বছরই বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেছিলেন। অসযোগ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে মহাত্মাগান্ধাী সারা ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। এই আন্দোলনে সংযুক্ত হয়েছিলো খেলাফত আন্দোলনও। মওলানা মোহাম্মদ আলী-শওকত আলী ভ্রাতৃদ্বয় মহাত্মজীর নেতৃত্বে ভারতীয় মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। ভারত উপমহাদেশের রাজনীতিতে এই বছর হিন্দু-মুসলমান মিলনের শুভ সূচনা ঘটেছিলো।
মনীষী রোমাঁ রোলাঁ ‘মহাত্মা গান্ধী’ নামে যে বইটি লিখেছেন, সেখানে সুন্দর ভাবে দেখানো হয়েছে কেন মহাত্মাজী ইংরেজ সরকারের বির”দ্ধে অসহযোগ ও অহিংস আন্দোলনে নেমেছিলেন। ১৯২০ সালের ২৮ জুলাই মহাত্মাজী ঘোষণা দিয়েছিলেন, ১ আগস্ট থেকে ভারতে অসহযোগ আন্দোলন শুর” হবে। তার আগের দিন ৩১ জুলাই ভারতবাসীকে উপবাস ও হরতাল পালনের আহ্বান জানালেন। তিনি ভালো কাজে ইংরেজকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তাহলে তিনি ওই সময় ইংরেজের বির”দ্ধে এতটা ক্ষুব্ধ হলেন কেন যে ঘোষণা করলেন, ‘নিজের অমর্যাদার প্রতি অসহায় দর্শক হওয়ার চেয়ে আমি চাইব ভারত বরং তার মর্যাদা রক্ষার জন্য অস্ত্র ব্যবহার কর”ক।’ (আমার জীবন আমার বাণী-পৃঃ ৯৮)।
ইংরেজদের কুশাসন ধীরে ধীরে ভারতবাসীকে ক্ষুদ্ধ করে তুলেছিলো। তাদের দমন নীতি কঠোর থেকে কঠোরতার হচ্ছিল। ১৯১৪ সালের ১ম বিশ্বযুদ্ধে ইংরেজ সরকার জার্মানির বির”দ্ধে ভারতবাসীকে ব্যবহার করেছিলো। ভারতের সৈন্য, অর্থ, অস্ত্র সবই প্রয়োগ করেছিলো। ভারতবাসীকে ইংরেজ কামানের খোরাক বানিয়েছিলো। ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের রণাঙ্গানের পথে পথে ভারতীয় সৈন্য তাদের মূল্যবান জীবন দিয়েছে। ভারতীয় নেতারা ১ম বিশ্বযুদ্ধে ইংরেজকে সমর্থন দিয়েছিলেন। লোকমান্য তিলক একটানা ৬ বছর জেল খেটেও ইংরেজকে সমর্থন দিয়েছিলেন। কিন্তু এর প্রতিদান হিসেবে ভারতবাসী পেয়েছিলো তার উল্টো ফল।
যুদ্ধের কুফল ভারতবাসী অচিরে পেতে শুর” করেছিলো। অর্থনীতিতে যে ধস নেমেছিলো তার ভোগান্তি শুর” হলো ভারতের উপর। ভারতের অভ্যন্তরে অশান্তির ছায়া পড়লো। জিনিস পত্রের দাম বেড়ে গেল। শুর” হলো হোমর”ল আন্দোলন। নেতৃত্ব দিলেন তিলক এবং শ্রীমতি এনি বেশান্ত। প্রতিষ্ঠা ঘটালো হোমর”ল লীগ। এ সময় আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতা যুদ্ধ তিলককে ইংরেজ বিরোধী পদক্ষেপ নিতে অনুপ্রাণিত করেছিলো। ভারতের অনেক বিখ্যাত নেতা হোমর”ল লীগে যোগদান করলেন। এর মধ্যে ছিলেন সি. পি রামস্বামী আয়েঙ্গার এবং মুহম্মদ আলী জিন্ন্াহ। এতে ইংরেজের মাথার তালু গরম হতে লাগলো। চালাকি করে ইংরেজ মন্টেগুচেমস ফোর্ড সংস্কারের মাধ্যমে ভারতকে ডোমিনিয়ন স্ট্যাটাসের প্রতিশ্র”তি দিয়েছিলো।
১৯১৮ সালে ১ম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়। জয় হয় ইংল্যান্ডের। এর পরেই ইংরেজ প্রতিশ্র”তি ভঙ্গ করে কুখ্যাত রাওলাট আইন প্রবর্তন করেন। ১৯১৮ সালের এপ্রিল মাসে রাওলাট কমিটির সুপারিশমালা প্রকাশিত হলো। রাওলাট এ্যাক্টের প্রধান লক্ষ্য ছিলো ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন দমন করা। এতেও কংগ্রেস ক্ষুব্ধ হলো। দেখা গেলো মন্টেগু চেমস ফোর্ডের রিপোর্র্টে ভারতীয়দের আশা-আকাক্সক্ষাকে ন্যূনতম মূল্য দেয়া হয় নি। ভারতীয়দের হাতে সামান্যতম ক্ষমতা প্রদানের পথ র”দ্ধ করা হলো। কংগ্রেসের নেতারা ১৯১৮ সালে বোম্বাইয়ের অধিবেশনে চেম্স্ফোর্ড রিপোর্ট প্রত্যাখান করলেন।
১৯১৯ সালের শুর”তেই ভারতের আকাশে অশনি শঙ্কেত দেখা দিতে থাকে। সমস্ত ভারতীয়দের মতামত উপক্ষো করে রাওলাট কমিটির সুপারিশ পাশ করে পুলিশের হাতে বেপরোয়া ক্ষমতা দেয়া হলো। ভারতীয় নেতাদের দমনই ছিলো এর লক্ষ্য। বিখ্যাত বাগ্মী ও নেতা সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি রাওলাট আইনকে অসহােগ আন্দোলনের জনক বলেছেন। এই কুখ্যাত আইনের বির”দ্ধে ভারতীয়রা হয়ে উঠেছিলো জ¦লন্ত আগুনের মত উত্তপ্ত। গান্ধী এবং জিন্নাহ দু’জনই এই আইনের বির”দ্ধে প্রবল প্রতিবাদ করেছিলেন। গান্ধীজী সর্ব প্রথম এই সময় জাতীয় নেতৃত্বের সামনের কাতারে চলে আসেন। রাওলাট আইন প্রতিহত করার লক্ষ্যে তিনি সত্যাগ্রহ কমিটি গঠন করেন। তিনি নির্দেশ দিলেন ইংরেজের দমন মুলক আইন অহিংস পন্থায় অমান্য করতে। আইন অমান্য আন্দোলনের দিন হিসেবে গান্ধীজী ঠিক করলেন ১৯১৯ সালের ৬ এপ্রিল। ওই দিন সারা ভারতে সফল হরতাল পালিত হয়েছিলো।
গান্ধীজীর নেতৃত্বে এই আন্দোলন যেমন ভারতবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করলো তেমনি উত্তেজিতও করলো। ৬ এপ্রিল হরতালের আগুন ভারতের শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলো।
এই ফাঁকে বলে নেয়া দরকার যে, ভারতের মুসলমানরাও প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ইংরেজকে সহযোগিতা করেছিলো। তার পরেও প্রতিশ্র”তি ভঙ্গ করে ইংরেজ তুরস্কের খেলাফতের ওপর হস্তক্ষেপ করে। এতে সারা ভারতের মুসলমানরা ইংরেজের ওপর ক্ষুদ্ধ হয়। এই সব প্রেক্ষাপটে ভারতে জোরালো ভাবে হিন্দু-মুসলমান ঐক্যবদ্ধ হলো। সীমান্ত গান্ধী খান আবদুল গাফ্ফার খানের নেতৃত্বে এই সময় মাদ্রাজে প্রায় পাঁচ হাজার মুসলমানের একটি জমায়েত হলো। এই জমায়েতে মহাত্মাগান্ধী আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তুরস্কের খেলাফত অসম্মান করার ফলে ভারতের মুসলমানরা যারপর নাই মনে আঘত পেয়েছিলো। মহাত্মাজী মুসলমানদের পক্ষ নিলেন। তিনি বললেন, এর প্রতিশোধ নিতে হলে ভারতে ইংরেজকে বয়কট করতে হবে। এ ভাবে মওলানা মোহাম্মদ আলী শওকত আলী ভ্রাতৃদ্বয় মাহত্মাজীর সঙ্গে জোট বাঁধলেন জেল থেকে মুক্ত হয়ে।
পাঞ্জাবের অমৃতসরের জনগনের ওপর কী ধরনের অত্যাচার করা হয়েছিলো তার বর্ণনা দিয়েছেন রোঁমা রোঁলা। বলেছেন, ‘দেশের সর্বাপেক্ষা শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিদিগকে সামরিক আদালতে ধরিয়া আনিয়া চাবকানো ইহল, হামাগুড়ি দিতে বাধ্য করা হইল এবং তাহা দিগকে আরো নানারূপ লাঞ্ছনা অপমান সহিতে হইলো।” (মহাত্মাগান্ধী-পৃ: ২৩)
সবচেয়ে প্রকট হয়ে দাঁড়ালো ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল জালিয়ান ওয়ালাবাগে জেনারেল ডায়ারের নির্দেশে বর্বর হত্যাকান্ড। এই হত্যার কোন বিচার ইংরেজ সরকার করেনি, উল্টো বৃটেনের পার্লামেন্ট ডায়ারকে সমর্থন করেছিলো। এরই প্রতিবাদে মহাত্মা গান্ধী অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিলেন। নিয়ম মাফিক তারই সরকার গঠন করার কথা পাকিস্তানে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান স্বয়ং বলেছিলেন, ‘শেখ মুজিব পাকিস্থানের ভাবী প্রধানমন্ত্রী।’ কথা ছিলো ইয়াহিয়া খান ৩ তারিখে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অদিবেশন ডাকবেন। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ ঢাকা স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলা চলছিলো। হঠাৎ করে বেলা দুটোর দিকে ইয়াহিয়া খান ঘোষণা দিলেন, পাকিস্তানের জাতীয় অধিবেশন অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ গোষণা করা হলো। সঙ্গে সঙ্গে জনগণ রাজ পথে নেমে এলো। ঢাকা স্টেডিয়ামের ক্রিকেট খেলা বন্ধ হয়ে গেলো। স্লোগান দিতে দিতে তারা রাস্তায় নেমে এলো। বঙ্গবন্ধু তখন হোটেল পূর্বাণীতে ছিলেন। তার সহকর্মীদের নিয়ে ৬ দফার ভিত্তিতে পাকিস্তানের খসড়া সংবিধান প্রণয়নে ব্যস্ত ছিলেন। ক্ষুব্ধ জনগণ ছুটে গেলো তার সামনে। তিনি প্রতিবাদী জনগণের সামনে অগ্নি গর্ভ এক ভাষণ দিলেন। বললেন কাল থেকে আপনারা শান্তিপূর্ণ ভাবে হরতাল পালন করবেন। ৭ তারিখ আমি আমার কর্ম সূচী ঘোষণা করবো।
২ মার্চ ছাত্রনেতারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় যে বিশাল ছাত্র-গণ সমাবেশ হয়েছিলো, সেখানে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিলো। উল্লেখ্য যে, ‘ছাত্র লীগের প্রাক্তন নেতা কাজী আরেফ আহমেদ জানিয়েছেন, স্বাধীন বাংলার পতাকা তৈরির ব্যাপারে আওয়ামীলীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান সরাসরি জড়িত ছিলন।’ (ড. মোহাম্মদ হান্নান- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্টুডেন্ট ওয়েজ-১৯৯২,পৃঃ ২৬০)।
এর মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগাম পরিষদ গঠিত হয়। স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতাদের আহ্বানে ৩ মার্চ বিকেলে পল্টনে এক ঐতিহাসিক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় বঙ্গবন্ধু উপস্থিত ছিলেন। তিনি প্রধান অতিথির ভাষণ দিয়েছিলেন। এ সভাতেই ছাত্রনেতারা স্বাধীনতার ইস্তেহার পাঠ করেছিলেন। তাতে পরিষ্কার বলা হয়েছিলো ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছে।’ ৭ মার্চের মহাভাষণে বঙ্গবন্ধু সরসরি স্বাধীনতা যুদ্ধের রূপরেখা তুলে ধরেছিলেন। বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এমন জ¦লন্ত প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু ২৪ মার্চ পর্যন্ত তার অসহযোগ আন্দোলন পরিচালনা করেছিলেন। নিখুঁত সে পরিচালনা। মহাত্মাগান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলনের মূলেই প্রভেদ আছে। গান্ধীজী আন্দোলনে নেমেছিলেন ইংরেজ সরকারের বর্বর আচরণ সংযত করার লক্ষ্যে, ভারতে যাতে ডোমেনিয়ন স্ট্যাটাস প্রতিষ্ঠিত হয় সে লক্ষ্যে। অসহযোগ আন্দোলন শুর” হওয়ার পূর্বেও গান্ধীজী ইংরেজকে ন্যায্য কাজে সহযোগগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন। ১৯১৪ সালের ১ম বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে ভারতবাসীর প্রতি ইংরেজ সরকার সদাচার করবে বলে প্রতিশ্র”তি দিয়েছিলো। যুদ্ধে জয়ী হয়েই ইংরেজ সরকার সেই প্রতিশ্র”তি ভঙ্গ করে। তুরস্কের খেলাফতের ওপর আঘাত করে মুসলমানদের চটিয়ে দেয়। সবচেয়ে বর্বরোচিত ঘটনা ঘটে ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল পাঞ্জাবে জালিয়ান ওয়ালাবাগে। জেনারেল ডায়ারের নির্দেশে নির্বিচারে ৩৭৯জন ভারতীয়কে হত্যা করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে গান্ধীজী ইংরেজের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদে অসহযোগ আন্দোলন শুর” করেছিলেন। এক সময় তা ঘোষণা দিয়ে থামিয়েও দিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলনের মটো এমন ছিলো না। তিনি ১৯৭১ সালের ১মার্চ বলেছিলেন, ‘সমগ্র বাংলাদেশ স্বতস্ফুর্ত বিক্ষোভ প্রদর্শনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর সামনে প্রমাণ করে দিয়েছে যে, বাঙালিরা আর নির্যাতিত হতে রাজী নয় এবং তারা একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হতে দৃঢ় সঙ্কল্প।’(ড. মোহাম্মদ হান্নান- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, পৃঃ ২৫৭)
অর্থাৎ তার অসহযোগ আন্দোলন ছিলো একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অসামান্য কৌশল। ৭ মার্চের ভাষণের পর পূর্ব বাংলা তথা বাংলাদেশের সমস্ত শাসন ক্ষমতা তার হাতে চলে এসেছিলো। ড. বোরহান উদ্দীন খান জাহাঙ্গীর ‘রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা’ নামে যে বইটি লিখেছেন, সেখানে বলেছেন বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রের মধ্যে রাষ্ট্রের ধারণা তৈরি করে ফেলেছেন। অসহযোগ আন্দোলন পরিচালনা কালে তিনি ৩৫টি নির্দেশ জারি করে পাকিস্তানের কর্তৃত্ব প্রত্যাখান করেন। ক্যান্টনমেন্ট ছাড়া পাকিস্তানের কোথাও অস্তিত্ব ছিলো না। স্বাধীন বাংলার পতাকা গাড়িতে লাগিয়ে তিনি ভূট্টো ইয়াহিয়ার সঙ্গে আলোচনায় যেতেন। অসহযোগ আন্দোলনই স্বাধীনতার সশস্ত্র আন্দোলনে রূপ নিয়েছিলো।

কলামলেখক, গবেষক।