দৈনিক গৌড় বাংলা

রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

অসময়ের ঘুম থেকে মুক্তির উপায়

কাজ করতে গেলেই ঘুম পায়। এমন সমস্যাই থাকেন অনেকে। এমনকি ট্রেনে-বাসেও ঘুমিয়ে পড়েন। যা থেকে পড়তে পারেন বড় বিপদে। কিন্তু এর পেছনের কারণ কি জানেন? এমন ঘুম ঘুম ভাবের পিছনে রয়েছে একাধিক শারীরিক ও মানসিক সমস্যা। তাই চোখে ঘুম লেগে থাকার কয়েকটি কারণ জেনে নিন। তাহলে মিলবে সমাধানও। রাতে ঘুম না হওয়া আপনার রাতে ঘুম না হলেই মুশকিল। কারণ রাতে পর্যাপ্ত সময় ঘুম না হলে পরেরদিন চোখে নিদ্রার রেশ থাকবেই। তাই রাতে ঘুম না হলে সবার আগে চা, কফি খাওয়া বন্ধ করুন। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ১ ঘণ্টা আগে মোবাইল বা টিভির থেকে চোখ সরিয়ে নিন। তার বদলে বই পড়তে পারেন। শারীরিক পরিশ্রমের অভাব: অনেকেই মোটেই শারীরিক পরিশ্রম করতে চান না। তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেয়ারে হেলান দিয়ে কাজ করেন। আর বাড়ি ফিরে বসেন টিভির সামনে বা ফোনে সময় কাটান। এতে শরীরে এনার্জির ঘাটতি হয়। এমনকি চোখে লেগে থাকে ঘুমের রেশ। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে দিনে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। আর যদি শরীরচর্চায় অনীহা থাকে, তবে হাঁটুন। এই নিয়ম মেনে চললে এনার্জি লেভেল বাড়বে। থাকবে না বাড়তি ঘুম।
দুশ্চিন্তাই মূল কারণ: অনেকেই সবসময় দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকেন। তাই তাদের শরীরে সর্বক্ষণ বের হতে থাকে স্ট্রেস হরমোন। ফলস্বরূপ সারাদিন ঘুম পায়। তাই শরীরে এনার্জির ঘাটতি পূরণ করতে চাইলে স্ট্রেস কমাতে হবে। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে মাইন্ডফুলনেস এক্সারসাইজ।
সঠিক ডায়েটের অভাব: শরীরের শক্তির প্রধান উৎস যেহেতু খাবার, তাই আপনার ডায়েট চার্টটি ঠিক থাকা জরুরি। কিন্তু খুব কম মানুষই আছে রুটিন মেনে খাবার খান। এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে মোটেও কেউ দেখেন না। কর্মচঞ্চল থাকতে হলে আপনার অবশ্যই ব্যালেন্সড ডায়েট প্রয়োজন। তাহলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি থাকবে না। স্বাস্থ্যকর খাবার থেকে আমাদের বেশি পছন্দ তেল, ঝাল, লবণ ও মশলা যুক্ত ফাস্টফুড। এই সমস্যার সমাধানে সবার প্রথমে আপনার ডায়েট চাটে বদল আনতে হবে। প্রতিদিনের রুটিনে রাখতে হবে আটার রুটি, ঢেঁকি ছাঁটা চালের ভাত ও ফাইবার যুক্ত খাবার। সেই সঙ্গে খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে শাক, সবজি, ফল, মাছ, মাংস, ডিম, ও দুগ্ধজাতীয় খাবার।

About The Author