ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাঙালি অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় এবার অর্থনীতিতে যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন। অন্য দুজন হলেন- অভিজিতের স্ত্রী ফরাসি নাগরিক এস্থার ডাফলো এবং মার্কিন নাগরিক মাইকেল ক্রেমার। সোমবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস এ পুরস্কার ঘোষণা করে।
উন্নয়ন অর্থনীতির মধ্য দিয়ে দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে এবার এই তিন অর্থনীতিবিদকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে। সম্মানী হিসেবে তারা পাবেন ১১ লাখ মার্কিন ডলার।
উল্লেখ্য, চতুর্থ বাঙালি হিসেবে নোবেল পুরস্কার অর্জন করলেন অভিজিৎ। নোবেল পাওয়া বাঙালি অর্থনীতিবিদ হিসেবে অভিজিতের অবস্থান দ্বিতীয়। এর আগে অমর্ত্য সেন একই বিষয়ে এই সম্মাননা অর্জন করেন।
১৯০১ সাল থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া শুরু হলেও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার শুরু হয় ১৯৬৯ সাল থেকে। এবার ৫১তম বারের মতো এই পুরস্কার ঘোষণা করা হলো।
সোমবার অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণার মাধ্যমে শেষ হলো এ বছরের নোবেল পুরস্কার বিতরণ।
অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৬১ সালে, ভারতের মুম্বাইয়ে। তার বাবা দীপক বন্দোপাধ্যায় ছিলেন কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ও অধ্যাপক এবং তার মা নির্মলা বন্দোপাধ্যায়ও ছিলেন সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস, কলকাতার অর্থনীতি বিভাগের একজন অধ্যাপক। অভিজিৎ সাউথ পয়েন্ট স্কুল এবং কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে লেখাপড়া করেন, যেখান থেকে ১৯৮১ সালে অর্থনীতিতে বিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি দিল্লির জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ১৯৮৮ সালে অভিজিৎ অর্থনীতিতে পিএইচডি করতে হার্ভার্ডে ভর্তি হন। তার থিসিসের বিষয় ছিল- এসেস ইন ইনফরমেশন ইকোনমিকস।
অভিজিতের স্ত্রী এস্থার বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী। বিশ্বের দ্বিতীয় নারী হিসেবে অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন তিনি। এর আগে পেয়েছিলেন এলিনর অসট্রম, ২০০৯ সালে।