Last Updated on মে ২৪, ২০২৪ by
অবসরে যাচ্ছেন নাভাস
কোপা আমেরিকার কোস্টা রিকা দলে কেইলর নাভাস থাকবেন নাকি থাকবেন না, তাকে রাখা হবে নাকি নয়, এসব নিয়ে গুঞ্জন চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। সবকিছুর সমাপ্তি টেনে দিলেন তিনি নিজেই। ৩৭ বছর বয়সী এই গোলকিপার সামাজিক মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন, আর খেলবেন না তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে। এবারের কোপা আমেরিকাতেও তাকে দেখা যাবে না। তার বিদায়ে কোস্টা রিকার ফুটবলে দারুণ একটি অধ্যায়ের শেষ হলো। সেই ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক তার। একটা সময় হয়ে ওঠেন দলের অতন্দ্র প্রহরী। দেশের হয়ে খেলেছেন তিনি ১১৪ ম্যাচ। নেতৃত্ব দিয়েছেন অনেকগুলো ম্যাচে। বিশ্বকাপ খেলেছেন তিনি তিনটি। কোস্টা রিকার ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় সাফল্য, ২০১৪ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল ওঠায় তার ছিল বড় অবদান। সব স্মৃতিকে সঙ্গী করে বিদায় জানালেন তিনি। ভবিষ্যতে কোনো ভূমিকায় আবার দলের সঙ্গে থাকার ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন। “আমার জীবনের এই অধ্যায়ের শেষ হতে চলেছে। হৃদয়ভরা কৃতজ্ঞতা নিয়ে বিদায় নিচ্ছি আমি, দৃষ্টি আমার সামনে এবং মনের ভেতর সবসময়ই লালন করব আমার প্রিয় কোস্টা রিকার নাম।” “এটা অম্লমধুর একটা অনুভূতি, মেনে নেওয়া কঠিন। তবে শেষ একটা সময় করতে হতোই। তবে এটা বিদায় নয়, ¯্রফে বলছি যে আবার দেখা হবে। কারণ আমাদের পথ আবার কোনো সময় একসঙ্গে মিলবেই। ধন্যবাদ কোস্টা রিকা, আবার দেখা হবে।” গত মার্চে আর্জেন্টিনার সঙ্গে ম্যাচটিই হয়ে থাকল দেশের জার্সিতে তার শেষ লড়াই। ক্লাব ফুটবলকে অবশ্য বিদায় বলেননি তিনি। তবে বড় একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন তার সামনে ঝুলে আছে এখানেও। এই জুনেই শেষ হয়ে যাচ্ছে পিএসজির সঙ্গেতার চুক্তি। নতুন কোনো ক্লাবে তার নাম লেখানোর কথা জানা যায়নি এখনও। ক্লাব ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটিয়েছেন তিনি রেয়াল মাদ্রিদে। লেভান্তে থেকে ২০১৪ সালে তিনি পাড়ি জমান মাদ্রিদে। ইউরোপের সফলতম দলটির তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে তার ছিল উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। এছাড়াও এই ক্লাবের হয়ে তিনি জিতেছেন চারটি ক্লাব বিশ্বকাপ, দুটি উয়েফা সুপার কাপ, একটি করে লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ। পরে ২০১৯ সালে তিনি নাম লেখান পিএসজিতে। এই ক্লাবের হয়ে তিনটি ফরাসি লিগসহ জিতেছেন আরও ছয়টি ট্রফি। তবে ২০২১ সালে জানলুইজি দোন্মারুম্মা আসার পর থেকেই নাভাস আর প্রথম পছন্দের গোলকিপার নন। এই মৌসুমে তো তাকে ধারে পাঠানো হয় নটিংহ্যাম ফরেস্টে। এই মৌসুম দিয়ে চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে পিএসজিতে। ক্লাব ক্যারিয়ার তাই আপাতত আছে অনিশ্চয়তায়।