শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৭ জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on মার্চ ৩, ২০২৫ by

অপ্রয়োজনীয় শব্দ সৃষ্টি হতে বিরত থাকতে হবে

বিশ্ব শ্রবণ দিবসের আলোচনায় পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, শ্রবণস্বাস্থ্য রক্ষা শুধু ব্যক্তিগত বিষয় নয়, এটি পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
তিনি বলেন, শব্দদূষণ রোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শ্রবণক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি কমানো সম্ভব। এজন্য আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে এবং অপ্রয়োজনীয় শব্দ সৃষ্টি হতে বিরত থাকতে হবে।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নাক, কান, গলা ও হেড-নেক ক্যান্সার হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে বিশ্ব শ্রবণ দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘মানসিকতার পরিবর্তন : নিজেকে শক্তিশালী করে তুলুন’।
উপদেষ্টা বলেন, শব্দদূষণ শ্রবণক্ষমতা হ্রাসের অন্যতম কারণ। শহরাঞ্চলে অতিরিক্ত যানবাহনের হর্ন, শিল্পকারখানার শব্দ ও উচ্চস্বরে মাইক ব্যবহারের কারণে শ্রবণজনিত সমস্যার ঝুঁকি বাড়ছে। সরকার শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে, তবে নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, হর্ন বাজানো এবং সামাজিক অনুষ্ঠানসহ দৈনন্দিন কাজে বাহুল্য শব্দ সৃষ্টি বন্ধ করা জরুরি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইএনটি অ্যান্ড হেড-নেক ক্যান্সার হাসপাতাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউটের সভাপতি ও সাবেক সচিব সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী।
এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেনÑ ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. জাহানারা আলাউদ্দিন, সদস্য সচিব কামরুল হাসান তরফদার, বাংলাদেশ ইএনটি হাসপাতালের প্রফেসর মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালের অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ খান ও হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ড. আলী ইমাম।
এর আগে দিবসটি উপলক্ষে একটি র‌্যালি বের হয়।

About The Author

শেয়ার করুন