অনুশীলন ক্যাম্প শুরু হলে তবেই টাইগারদের কোভিড টেস্ট

23

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের প্লেয়ারদের করোনা আক্রান্তের খবরে দেশের গোটা ক্রীড়াঙ্গনই নড়েচড়ে বসেছে। চাপা আতঙ্কে দেশের বাদ বাকি ফেডারেশনের কর্তারাও নিশ্চয়ই দিনাতিপাত করছেন। অবশ্য না করার কোনো কারণও নেই। কেননা আসন্ন বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের বাছাই পর্বের ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ২৪ ফুটবলারের মধ্যে ১৮ জনই করোনা পজিটিভ। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এদেশের ক্রিকেট প্রেমীদের মনেও প্রশ্নের উদ্রেক হতে পারে- তাহলে টাইগার ক্রিকেটারদের কী অবস্থা? মহামারিকালে তারা কেমন আছেন বা তাদের করোনা পরীক্ষাই বা কবে নাগাদ হতে পারে? তাদের অব্যক্ত এমন প্রশ্নের উত্তর দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। অভিজ্ঞ এই চিৎিসকের ভাষ্যমতে, কোনো সিরিজ সামনে রেখে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন ক্যাম্প শুরু হলে তবেই ক্রিকেটারদের করোনা পরীক্ষা করা হবে। কেননা আলাদা করে জনে জনে সবার পরীক্ষা করা সম্ভব নয়। তার কথার এটা স্পষ্ট যে, আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে অনুষ্ঠেয় অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দিতে প্রত্যেক টাইগার সদস্যকেই কোভিড টেস্টের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তার আগে কোনো ক্রিকেটারেরই করোনা পরীক্ষা করার কথা ভাবছেন তারা। শনিবার তিনি একথা বলেন। দেবাশীষ জানান, ‘এটা আমাদের আগের পরিকল্পনা যে যখন আমরা ট্রেনিং ক্যাম্প করব তখন প্লেয়ারদের কোভিড পরীক্ষা করাব। যখন ক্যাম্প হবে না তখন করে তো লাভ নেই। কেননা আমরা তো আর প্রতিদিন পরীক্ষা করতে পারব না।’ জুলাইয়ে-আগস্টে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের তিন ম্যাচ সিরিজের টেস্ট খেলতে যাওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। সেই স্থগিত হয়ে যাওয়া সিরিজটি আবারও মাঠে ফেরাতে চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ও লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। গত ২৯ তারিখ বিসিবি’র সিইও নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন জানিয়েছিলেন দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তারা সিরিজটি আয়োজনের সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন অপেক্ষা শুধু আয়োজক লঙ্কান বোর্ডের সবুজ সঙ্কেতের। তবে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, স্বাগতিকদের বিপক্ষে সিরিজে অংশ নিতে মধ্য সেপ্টেম্বরে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ ক্রিকট দল। আর টেস্ট সিরিজ শুরু হবে মধ্য অক্টোবরে।