Last Updated on জুন ১০, ২০২৫ by
অনির্বাচিত সরকার লম্বা সময় থাকা উচিত নয়
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নুরুল ইসলাম
জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, আমরা মনে করি, একটি অনির্বাচিত বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার লম্বা সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে ও দেশকে অচলাবস্থা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার জন্য যে সময়টুকু দরকার, দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি নিয়মতান্ত্রিক-গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে রাষ্ট্রের ক্ষমতা যাওয়া উচিত। তাতে জনগণের অংশীদারত্ব থাকবে।
গত সোমবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে নুরুল ইসলাম বুলবুল এমন কথা বলেন।
জেলাশহরের একটি হোটেলে এর আয়োজন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা ও পৌর জামায়াত।
এসময় উপস্থিত ছিলেন— জেলা জামায়াতের সাবেক আমির ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের আমির আবুজার গিফারী ও সেক্রেটারি আবু বকর, পৌর জামায়াতের আমির গোলাম রাব্বানীসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।
নূরুল ইসলাম বুলবুল আরো বলেন, ‘নির্বাচন হলে কী হবে এটি বড় কথা নয়। এটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। এই কাজটি নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এর জন্য যে সময়টুকু প্রয়োজন, তা দেয়া উচিত। যারা রাজনীতি করে তাদেরকেও এই সময়টুকু দেয়া উচিত।’
জামায়াত নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী কাজ আমাদের নিয়মিত কাজের অংশ। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে বা পরে এর কোনো সম্পর্ক নেই। সারা বছরই নির্বাচনী বিভিন্ন কাজ চলমান থাকে। তবে নির্বাচনের সময় কাজ বেড়ে যায়। আগামী জাতীয় সংসদের জন্য নির্বাচনী প্রস্তুতি আছে। অভ্যন্তরীণ ও উন্মুক্ত কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা নির্বাচনী প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। জামায়াতের আমির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন।’
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘আগে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের সংস্কারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সম্পাদন করতে হবে। পাশাপাশি বিচারিক কার্যক্রমকেও এগিয়ে নিতে হবে। এসব কার্যক্রম শেষ করে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে পারলে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে। তা না হলে আরেকটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন নতুন করে বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে আবারো পেছনের দিক নিয়ে যেতে পারে।’
তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সম্পর্কে বলেন— এই জেলা একটি অবহেলিত জেলা। এখানে অনেক সম্ভাবনা থাকার পরও অতীতে কেউ সেগুলো নিয়ে মাথা ঘামাননি। এই শহরের একটি রাস্তা বাদ দিলে বাকি রাস্তাগুলো যান চলাচলের অনুপোযোগী, শহরটি গড়ে উঠেছে অপরিকল্পতভাবে। ইউনিয়নগুলোয় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই, অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তাগুলো ডুবে যায়। রহনপুরে রেলবন্দর হওয়ার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তা হয়নি। এখানে একটি মাত্র আন্তঃনগর ট্রেন। এখানে অর্থনৈতিক জোন হতে পারে, হতে পারে কৃষিভিত্তিক শিল্পকারখানা। এখানে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রয়োজন, প্রয়োজন একটি মেডিকেল কলেজ, একটি উন্নতমানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। আগামীতে সুযোগ পেলে আপনাদের সকল স্টেকহোল্ডারকে সঙ্গে নিয়ে এইসব কাজগুলো দাবিতে পরিণত করে বাস্তবায়নে কাজ করব ইনশাআল্লাহ।