জাতীয় স্বার্থে ঈদে ঘরমুখো মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের প্রতি তিনি এ আহ্বান জানান।
বাসমালিকদের উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা বছর আপনারা আয় করেন, ঈদের সময় আমি জানি ফেরার সময় কোনো যাত্রী থাকে না। গত দুই বছর মানুষ মহামারির কারণে বিচ্ছিন্নভাবে ঘরমুখো ছিল। তাই এবার অনেকেই বাড়ি যাচ্ছেন ঈদ পালন করতে। আমি বলব, জাতীয় স্বার্থে আপনারা বিষয়টি দেখবেন, ত্যাগ স্বীকার করবেন।
পথে পথে যাত্রীরা যাতে কোনো ধরনের ভোগান্তির শিকার না হন সেদিকে কঠোরভাবে নজর দিতে বিআরটিএ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিদিন খোঁজখবর নিচ্ছেন। তিনি বলেন, বিগত যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার দেশের সড়ক মহাসড়ক অনেক ভালো। গাজীপুরে সড়কে যে সংকট ছিল, এবার আর সেই সংকট থাকবে না। উত্তরবঙ্গের সড়কে ঈদের সময় যে সমস্যা হয়, সেটাও আমরা উত্তরণ করেছি। কাজেই সেখানেও কোনো সংকট হবে বলে মনে হয় না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, পরিবহনের সবাই যদি সচেতন হন, রং সাইডে গাড়ি যদি না চালান, একটু ভিড় হলেই দেখা যায়, অনেকেই রং সাইডে চলে যান। রং সাইডে দুই চারটা গাড়ি গেলেই পুরো রাস্তায় যানজট লেগে যায়। যার যে দায়িত্ব সেটা যথাযথভাবে পালন করা হলে এবারের ঈদ যাত্রা অনেকটাই ভালো হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত ১৩ বছর ধরে প্রতি বছর বিএনপি ঘোষণা দিয়েছে ‘ঈদের পরে আন্দোলন’। দেখতে দেখতে ১৩ বছর, বিএনপির আন্দোলন কোন বছর?
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি প্রতিদিন একই কথা বলে। পথ হারানো পথিক, দিশেহারা পথিকের যেমন হয়, বিএনপিরও তাই হয়েছে। এরা আসলে কী চায়? যে ঐক্যের লেজেগোবরে অবস্থা সে ঐক্য জাতীয় ঐক্যের দাবি করে কীভাবে? তাদের নেতা কই? কে তাদের আন্দোলন করে?